বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, বাংলাদেশের বিশাল তরুণ প্রজন্মকে প্রকৃত অর্থে জনসম্পদে রূপান্তর করতে না পারলে আমরা যে ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের অথবা ২০৪১ সালে উচ্চ আয়ের দেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছি তা অধরা রয়ে যাবে। তাই তরুণ প্রজন্মকে জনসম্পকে রূপান্তর করতে হবে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘শহীদ ড. শামসুজ্জোহা স্মারক বক্তৃতা’য় ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম’ শীর্ষক প্রবন্ধে তিনি এসব কথাগুলো বলেন। অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, গত চার দশকে বাংলাদেশের সার্বিক আর্থ-সামাজিক অবস্থায় চোখ ধাঁধানো পরিবর্তন হয়েছে। তবে একইসঙ্গে বদলে গেছে বিশ্ব। বিশ্ব এখন বিশ্বায়নের যুগে প্রবেশ করেছে। সমালোচকরা বিশ্বায়নের যতই সমালোচনা করুক কারো পক্ষে এটির বিপক্ষে শক্তিশালী অবস্থান নেয়া সম্ভব নয়। বিশ্বসভ্যতায় বিশ্বায়ন ও শিল্প বিপ্লব ঘটেছে পরস্পরের হাত ধরে। বিশ্বায়ন ঘটেছে তিন ধাপে আর শিল্প বিপ্লব বর্তমানে চতুর্থ ধাপ পার করছে। বিশ্বায়নের প্রথম ধাপ শুরু হয় ১৪৯২ সালে যখন ক্রিস্টোফার কলম্বাস অনেকটা দৈবক্রমে তার জাহাজ নিয়ে আমেরিকার তীরে পৌঁছে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. বেলায়েত হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে শহীদ ড. জোহার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন ও তার রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা আশরাফী শহীদ ড. জোহার জীবনালেখ্য পাঠ এবং বিভাগের শিক্ষক ড. বিলকিস জাহান লুম্বিনী ও ড. মো. মাহবুবর রহমান বক্তৃতা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। স্মারক বক্তৃতার আগে অধ্যাপক মান্নান শহীদ ড. জোহার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যসহ জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার, ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ ।